করোনা ভাইরাস অতিমারীর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নতুন আতংকের নাম প্রানঘাতী 'মানকি পক্স' বা 'বাঁদর পক্স'। আফ্রিকান দেশগুলোতে দেখা গেলেও ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের অনেক দেশেই ইতিমধ্যে এই ভাইরাসটি দেখা দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সনাক্ত হবার পর বাংলাদেশের জন্য এটি নতুন চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আতংক সৃষ্টিকারী এই ভাইরাস সম্পর্কে জনসচেতনা তৈরির লক্ষ্যে শনিবার রাতে 'মানকি পক্সের প্রাদুর্ভাব ও রোধ' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ওয়েবিনার আয়োজন করে জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ডিপার্টমেন্ট ওফ পাবলিক হেলথ।
বিভাগের প্রধান ডাঃ এস এম মাহমুদের হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন দেশবরেন্য পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞরা। সেমিনারে মূল প্রবন্ধে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ সামস-উদ-দিন।
তিনি বলেন, "এই সংক্রামক রোগটি প্রানী থেকে মানুষে ছড়ায় যা অনেকটা পূর্বের চিকেন পক্সের মতো। এটি এমন ভাবে ছড়াচ্ছে যা বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
জাতীয় স্বাস্থ্য বাতায়নের প্রধান নিবার্হী ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ মানকি পক্স নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, 'মানকি পক্স রোধে জার্মান বিশ্ববিদ্যায়ের এই উদ্যোগ শুধু বাংলাদেশ না সারা পৃথিবীকে সাহায্য করবে' তিনি আরো বলেন, 'করোনার মাঝে এই নতুন উদীয়মান সংক্রামক ব্যাধী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, যার গন্তব্য অজানা। আমাদের স্বাস্থ্যখাতকে এটি মোকাবেলায় বিশেষ অংশীদায়িত্ব নিয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।'
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নতুন দুঃচিন্তার কারন ও জরুরি ঘোষিত মানকি পক্স মোকাবেলায় করোনা ভাইরাসের সময় যে জনসচেতনতার ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে সেটিকে গুরত্ব দিয়ে দ্রুত আমলে নেবার বিষয়ে জোর দেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক পরামর্শক প্রফেসর ড. মুজাহারুল ইসলাম।
মানকি পক্স প্রতিরোধ ও বাংলাদেশের করনীয় বিষয়ে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জিইউবির পাবলিক হেলথের শিক্ষক বিল্লাল হোসাইন।
এছাড়াও বক্তারা ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের করনীয় বিভিন্ন পদক্ষেপ ও রূপরেখা তুলে ধরেন।
সেমিনারে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলোচনা শেষ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথের ডিন প্রফেসর ড. শাহজাহান
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের ডিন, শিক্ষক ও জনস্বাস্থ্য কর্মী, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট প্রফেশনাল, আর্ন্তজাতিক পাবলিক হেলথের শিক্ষার্থী এবং জিইউবির বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
লেখক- সাকিব আল হাসান
পাবলিক হেলথ শিক্ষার্থী
জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
0 মন্তব্য(গুলি):