শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০

Pneumonia ( নিউমোনিয়া )

Pneumonia ( নিউমোনিয়া )


বেবিদের অসুখ নিয়ে যখন ইনফরমে ছিলাম তখন মনে পরে গেল নিউমোনিয়ার কথা- বিশেষ ভাবে মনে হল ছোট বেলার কথা, যখন কোন বেবির জ্বর উঠার পর লাল,বেগুনি ও কাল রঙের মুখ দেখা দিত, তখন আমাদের মা- দাদিরা বলতেন টাকরা টুকরি ধরেছে ( সিলেটি আঞ্চলিক ভাষা ) তখন ঐ বেবিকে ফু ঝাড়– তাবিজ কবজ দিয়ে ভাল করার চেস্টা করতেন। অবশ্য কেউ কেউ ভাল হয়ে যেত আবার কেউ কেউ এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে যেত। কিন্তু বাস্তবে তা নয় (মুলত ইহা ভুল ছিল ) অর্থাৎ যাদের শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল ছিল তারাই ভাল হয়ে যেত। শরীরের এন্টিবডির কারনে, তবে সত্য একটা কথা বলতেই হয় , তখনকার সময় প্রত্যেক বেবিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্তমান সময়ের চাইতে অনেক ভাল ছিল।  তার একমাত্র কারন পুস্টি জনিত খাবার ছিল বেশি।  মুলত বৈজ্ঞানিক ভাবে এই তকের রঙ বদলানোর মুল কারন হচ্ছে রক্তে ভালভবে অক্সিজেন না মেশার দরুন মাঝে মাঝে রোগীদের ত্বকের রং পালটে কালচে বা বেগুনি হয়,  যাকে চিকিৎসকরা “সায়ানোসিস” বলে থাকেন।  এখন ও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রধান ঘাতক রোগ নিউমোনিয়া কে বলা হয়।  বিশ্বজুড়ে প্রতি ২০ সেকেন্ডে প্রাণ হারায় একজন শিশু। গড়ে শিশু মৃত্যুর এই হার এইডস ও ম্যালেরিয়ায় সম্মিলিত প্রাণহানির চেয়েও বেশি।

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক সংক্রমনের কারণে নিউমোনিয়া হয়। আর 'নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া স্ট্রেপটকক্কাস নিউমোনি’ বা হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা নামের জিবানু দ্বারা সংঘটিত নিউমোনিয়ার নাম ‘নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া’। সাধারনত দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা এ রোগে বেশী আক্রান্ত হয় । যা বাহকের শ্বাস নালীর উর্দ্ধভাগে এ রোগের জীবানু বাসা বেঁধে থাকে। সুতরাং বাহক অথবা আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি কাশি এমনকি শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে কাছে অবস্থানরত মানুষেরা সহজেই আক্রান্ত হতে পারে।আমরা জানি ফুসফুসের ভিতর ছোট ছোট কত গুলী এলভিওলাসের সমষ্টির ধারা তৈরি যা স্পঞ্জের মতো নরম ও স্থিতি স্থাপক, নিউমোনিয়া বা ফুসফুসে প্রদাহ হলে ফুসফুসের এই এলভিওলাইসগুলো স্পঞ্জের মতো আর নরম থাকে না। তখন যকৃত বা কলিজার মতো শক্ত হয়ে যায়। ফলে শ্বাস প্রশ্বাসের সময় সঙ্কোচন ও প্রসারণে বাধা পায় এবং শ্বাস কষ্ট হয়। সব বয়সের মানুষেরই নিউমোনিয়া হতে পারে। তবে শিশু ও বার্ধক্যদের বেলায় নিউমোনিয়া বেশি হয়। কারন এদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার দুর্বল থাকে বলে।  এ ভাবে একাধিক অঞ্চলের অ্যালভিওলাইগুলি জিবানুর দ্বারা সংক্রামিত হয় তাড়া তাড়ি।  তখন ফুসফুসের ভিলাই গুলিতে পানি জমে গিয়ে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে যাকে কনজেশন জাতিয় নিউমোনিয়াযা বলা হয় । 

নিউমোনিয়ার কারণঃ 

ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল, ক্যালামিডিয়াল, ইস্ট, ছত্রাক বা এলার্জি এবং প্রোটোজোয়ার অথবা ক্যামিক্যাল পদার্থের সংস্পর্শে বা আক্রমণে নিউমোনিয়া হতে পারে । 

কিভাবে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটেঃ

ফুসফুসে যে প্রাথমিক বা প্রাইমারি নিউমোনিয়া হয়, তা মুলত পরিবেশ থেকে জীবাণু শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে বা সংক্রামিত ব্যক্তিদের কাশির সময় তরলকণিকা শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে ৷ এটি জনসম্প্রদায় থেকে আসে তাই অতিরিক্ত ভিড় ও শীত ঋতুতে এই রোগের প্রকোপ বাড়ে ৷ আবার কিছু কিছু নিউমোনিয়ার সংক্রমণ ঘটে নিশ্বাসের সঙ্গে নিউমোনিয়ার জীবাণুযুক্ত অতি ক্ষুদ্র তরলকণিকা গ্রহণের ফলে৷ এই তরলকণিকা গুলি বাতাসে মিশে যায়, তারপরে জীবাণুগুলি ফুসফুসে প্রবেশ করে (এই জীবাণুগুলি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক বা অন্য রাসায়নিক বা যন্ত্রণাদায়ক বস্তুকণিকা হতে পারে ) এবং তারপরে অ্যালভিওলাইয়ে ঢুকে গিয়ে প্রদাহের সৃষ্টি করে সুস্থ অ্যালভিওলাইয়ে বিজাতীয় বস্তুর উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই সেটি তাড়িয়ে দেবার জন্য একটি ইমিউন প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়৷ এর ফলে ফুসফুসে ব্যাকটেরিয়া ও শ্বেত রক্ত কণিকা সহ তরল শ্লেষ্মা জমা হয়৷ তার ফলে ফুসফুসের মূল অংশে কনজেশন ও প্রদাহ সৃষ্টি হয় যাকে এবং একেই চিকিৎসকরা নিউমোনিয়া বলে থাকেন। অথবা, যাদের প্রতিরোধশক্তি কম এবং শারীরিক চালনব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদেরই শ্বাসনালীর উপরিভাগের সংক্রমণ বা সামগ্রিক কোন রোগের মাধ্যমে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে৷ মুখ, গলা, বা নাকে স্বাভাবিকভাবে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া কোনোভাবে ফুসফুসে ঢুকে গেলে নিউমোনিয়া হয়৷ যারা অন্য কোন রোগের প্রকোপে দুর্বল হয়ে পড়েন, তাদের বেলায় জীবাণুগুলি খুভ তাড়াতাড়ি ফুসফুসের বায়ুথলিগুলিতে আশ্রয় নেয় ও দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে থাকে৷ শরীর সংক্রমণটির সঙ্গে লড়তে থাকায় ফুসফুসের এই এলাকাটি তখন তরল ও পূঁজে ভরে যায়৷ যা পরবর্তীতে মারাত্মক অবস্তা ধারন করে।  

লক্ষণ ও উপসর্গগুলোঃ

নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীর প্রথমে সর্দি লাগার লক্ষণ দেখা যায় পরে জ্বর ১০৩-১০৪ ফারেনহাইট ও কাঁপুনি দিয়ে শীত করা অনুভব হতে পারে , বমি ( অনেক সময় না থাকতে পারে ) খিচুনি ভাব, কফ বা -শুষ্ক কফ, লোকালাইজড (চেস্ট পেইন) বুক ব্যথা, রোগীদের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া, শিশুর স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসের গতি ২৫-৪০ বার/মিনিট ( শিশুদের বেলায় খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় ইহা সর্দি জ্বর হবে ? প্রথমত সর্দিকাশি, জ্বরের সঙ্গে শিশু যদি খুব দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে, দুই বছরের কম বয়সের শিশু যদি প্রতি মিনিটে ৫০ বারের বেশি নিঃশ্বাস নেয় এবং দুই বছরের বেশি বয়সের শিশু যদি প্রতি মিনিটে ৪০ বারের বেশি নিঃশ্বাস নেয়, তাহলে বুঝতে হবে এটা সাধারণ সর্দিজ্বর নয়। দ্বিতীয়ত, শান্ত থাকা অবস্থায় শিশুর যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, নিঃশ্বাস নিতে গেলে ঘড়ঘড় আওয়াজ হয়, তাহলে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ ভাবতে হবে সাথে পেট ও বুকের নামা উঠা অন্য সময়ের চাইতে খুভ বেশি ) -রোগীর নাড়ীর গতি বৃদ্ধি পায়, রোগীর শ্বাস কষ্ট হয়, শ্বাস প্রশ্বাসের সময় নাকের পাতা উঠা নামা করে, রোগীর শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে গর গর শব্দ হয়। রোগ মারাত্মক হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে চামড়া নীল হয়ে যায় এবং শ্বাস নেয়ার ক্ষেত্রে বুক উঠা নামা করে অন্য রকম।

জটিলতাঃ
ফুসফুসের অ্যাবসেস বা ঘা ম্যানিনজাইটিস, সেপটিক আর্থ্রাইটিস, এন্ডোকার্ডিয়াটাইটিস, অ্যাকুইট রেসপেরটরী ডিস্ট্রস সিনড্রম,  রক্তপ্রবাহে (Blood Stream) জীবাণুর সংক্রমণ, ফুসফুসের চারপাশে তরল জমা এবং সংক্রমণ (Fluid accumulation and indection around lungs), তীব্র শ্বাসকষ্ট বা একিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনেড্রাম (Acute respiratory distress syndrome.

 শিশু বিশেষজ্ঞদের মতেঃ

বাচ্চদের বেলায় নিউমোক্কাল জীবানু যে কেবল সেখানেই বসে থাকবে তার নিশ্চয়তা নেই। সুযোগ পেলেই খুভ দ্রুত রক্তে ছড়িয়ে পরতে পারে, তাকে বলে ‘ব্যাকটেরিমিয়া’। যার জন্য মারাত্মক খিঁচুনি দেখা যায় ( সেখান থেকে যখন তা অন্যান্য অংগে আক্রমন করে তখন তাকে বলা হয় ‘সেপটিসেমিয়া’। প্রধানত মস্তিস্কে আক্রমন করে ‘ম্যানিনজাইটিস’ রোগ ঘটাতে পারে, যা খুভি জটিল , তখন শিশুর খিচুনি হয়। রক্ত থেকে মধ্য কর্নে রোগ ছড়াতে পারে, এটার সম্ভাবনা খুব বেশী। এছাড়াও রোগটি হৃদপিন্ডেও ছড়াতে পারে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এ রোগের জটিলতা সাড়া দেহ জুড়ে ও এতে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রচুর। শিশুদের ফুসফুসের রোগ থাকলে-যেমন অ্যাজমা, সিস্টিক ফাইব্রোসিস (যেখানে পাকস্থলী, প্যানক্রিয়াস প্রভৃতি জায়গায় দেহের মিউকোসাল) সিক্রেশন চটচটে হয় বলে ফুসফুসে ইনফেকশন হয় শিশুর শ্বাসনালি ও খাদ্যনালি জোড়া থাকলে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে খাবার খেলে সেটা শ্বাসনালিতে ঢুকে যায় শিশু যা খায় তাই বমি করে ফেলে দেয় বা খাবার পেট থেকে ফুসফুসে ফেরত চলে যায়, পেশি দুর্বল থাকলে আক্রান্ত শিশুরা ভালো করে কাশি দিয়ে কফ বের করতে পারে না। খাবার শ্বাসনালিতে ঢুকলেও কাশি দিতে পারে না, অনেকের জন্ম থেকেই প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে এ রোগ বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে । এ ছাড়া এইডস, থ্যালাসেমিয়া হলেও প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকায় নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শিশু বিশেষজ্ঞের মতে শিশুদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই ছোঁয়াচে বলা যেতে পারে। শিশুদের নাকে-কানে নিউমোনিয়ার ব্যাকটেরিয়া মজুদ থাকে। ) এই অসুখ হলে যা প্রথমে যা দেখা যায়, নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় শিশুর পেট ভেতরে ঢুকে যাওয়া । নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাক ফুলে উঠা । মুখ ও ঠোঁটের চারপাশ নীল হওয়া , সঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর থাকে ।বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া । এ অবস্থায় সাধারণত শিশু বুকের যেদিকে ব্যথা করে সেদিকটা ধরে রাখার চেস্টা করে । যেদিকে ব্যথা সেই দিকে পাশ ফিরে শুয়ে থাকে। হাঁটু মুড়ে, হাঁটুটাকে বুকের কাছে এনে পাশ ফিরে থাকে।ঘন ঘন শুকনো কাশি বা কাশি হতে থাকলেও কফ বের করতে না পারা । সব সময় মনে একটা অস্বস্তি, দুশ্চিন্তার মতো থাকবেই । বেশির ভাগ চার বছরের কম বেশি শিশুরা আক্রান্ত হলে ও নব জাতক শিশুরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় যা অনেক সময় মায়েরা কিছু বুজার আগেই বারটা বেজে যেতে পারে।

পরীক্ষাঃ

হা আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে নিউমোনিয়া ভাইরসের জন্য না ব্যাকটেরিয়ার জন্য হয়েছে সে জন্য ব্লাড টেস্ট ও এনালাইসিস করাতে হবে। ফুসফুসে কোন জায়গায় বেশি আক্রমণ বা কি অবস্তা সে জন্য এক্সরে করাতে হবে।  তা ছাড়া মারাত্মক পর্যায়ে কফ কালচার, সিটি চেস্ট-ব্রঙ্কোস্কপি ( ফুস্ফুসের ভিতর সরা সরি দেখা )  এবং অনেক সময় ফুসফুসে জমে থাকা ফ্লুইড কালচার করতে হয়।  তবে সিরিয়াস ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এ সব পরীক্ষা করা ভাল যদি রোগি শিশু হয়।

চিকিৎসাঃ

হা অবশ্যই এন্টিবায়োটিক নিউমোনিয়ার প্রধান ঔষধ।  কিন্তু তা নির্ভর করবে আপনার কোন ধরনের ব্যাক্টোরিয়া /ভাইরাস আক্রমণ করছে তা বুজা র উপর।  সাধারনত সেপালস্পিরিন খুবি ভাল রেজাল্ট দিয়েছে বর্তমানে ( তবে ইহা ও আগামিতে হিউমেন ইমুইনেজশন পরিবর্তনের কারনে ঠিক রেজাল্ট না ও পেতে পারেন ) Cephalosporin, is newly approved- সাধারনত ইহা ৭/৮ দিনে পূর্ণ সুস্ত হওয়ার কথা। তার পর ও রোগটি ভাইরাস না ব্যাক্টোরিয়া জনিত হয়েছে তা বুঝে ব্যাবস্তা নিলে ৯৯% সম্ভাবনা ভাল হয়ে যাবেন একেবারে নিশ্চিত ( আমার মতে রোগি যদি শিশু হয় তবে ২৪/৪৮ ঘন্টার উপরে কখন ও নরমাল অভজারবেশনে রাখবেন না তখন অবশ্যই ক্লিনিকেল অভজারবেশনে দরকার , তার কারন বাচ্চার কফ ও অন্যান্য কারনে বাচ্চার নাখ মুখ বন্ধ হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে ( কেন না সে সময় বাচ্চাদের কফ মেসিনের সাহায্যে বাহির করার দরকার হতে পারে , এবং ভাইরাস জনিত হলে ইহা খুব দ্রুত বেড়ে যায়  যদি বাচ্চার অপুষ্টি বেশি জনিত সমস্যা থাকে ) হা আমি নিজে দেখেছি এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যেতে। বিশেষ করে মা ঘুমিয়ে আছেন এবং অবহেলা জনিত বা না জানার কারনে বাচ্চার মুখে জোর করে দুধ দিয়ে ছেন সারা রাত কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার শুনা মনি আর নেই। তাই দয়া করে সতর্ক থাকবেন। বাচ্চার নাকে তৈলাক্ত ফোঁটা দেওয়া, দুর্ঘটনাক্রমে কেরোসিন বা ঐ জাতিয় কিছু যাতে নিঃশ্বাসের সেথে ভেতরে চলে না যায় ইত্যাদি খেয়াল রাখবেন ) সাথে চিকিৎসকরা এন্টিহিস্টামিন ও কফ ডাইলেশনের জন্য ভেন্টিলন জাতিয় ঔষধ দিয়ে থাকেন।  তবে যদি মারাত্মক আকারে ধারন করে অবশ্যই রোগীকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক্স ও ইনহেলার এবং অক্সিজেন এবং যদি কফ বাহির না হয় সে জন্য ডাইলেটরের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্তা না করলে অনেক সময় রোগিকে বাচা কস্ট সাধ্য হতে পারে। প্রতিরোধ হিসাবে যারা অপুষ্টি জনিত ভুগতেছেন এবং দেখা যায় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্বাভনা তাদের বেলায় নিউমোকক্কাল নিউমোনিয়া ভেক্সিন দিয়ে রাখা ভাল (দেড় মাস থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের জন্য এই ভেক্সিনের ডোজ হলো চারটি, সাত থেকে এগারো মাস বয়সে তিন ডোজ, বার মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সে দুই ডোজ দিতে হবে।  এ ছাড়া সুুখবর হলো বাচ্চাদের জন্য এখন মুখের স্প্রে হিসাবে ও ভেক্সিন দেওয়া যায়। তা ছাড়া স্বাভাবিক ভাবে আক্রান্ত দের বেলায় কাশি নিবারনের জন্য একক ভেষজের ব্যবহার তুলসী পাতার রস ১৫-২০ মিলি মধুর সাথে দিনে ২ বার সেব্য, বাশক পাতার রস ১৫-২০ মিলি দিনে মধুর সাথে সকাল-বিকাল সেব্য, আদার রস ২-৫ মিলি সম পরিমাণ মধুর সাথে সকাল-বিকাল সেব্য, রসুনের রস ২-৫ মিলি সম পরিমাণ মধুর সাথে সকাল-বিকাল সেব্য ( যে কোন একটি ব্যাবহার করতে পারেন ) তবে মনে রাখবেন এন্টিবায়োটিক হচ্ছে মুল ঔষধ – অন্যান্য যা কিছু আছে সব ই সহযোগি বলতে পারেন।

প্রতিরোধঃ

সত্য কথা বলতে কি আমাদের তৃতীয় বিশ্বে এ রোগের জন্য প্রতিরোধ বলতে যা বুঝি একটু বাড়তি সতর্কতা ও সন্দেহ ভাজনদের ভেক্সিন দেওয়া ভাল। এ ছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় যাহাতে বেশি ঠান্ডা না লাগে, গরমের সময় ঘেমে বা মেঘ বৃষ্টিতে সর্দি কাশি ইত্যাদি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা। আর নতুন গবেষনায় দেখা যাইতেছে যাদের জিঙ্ক এর অভাব তাদের হওয়ার সম্বাভনা বেশি তাই বেশি করে জিঙ্ক যে খাদ্যতে তে থাকে তা প্রচুর পরিমানে খাওয়ার চেস্টা করবেন। ( কচি মুরগির মাংস, পনির, মসুর ডাল, শিম, কর্নফ্লেক্স, চিঁড়া ইত্যাদি )  মুলত সব কিছুর পর গন সচেতনতাই হচ্ছে মুল প্রতিরোধ।

ধন্যবাদ
ডাঃ মোঃ রকিবুল হাসান সুমন
ডিএমএফ, ঢাকা

Share This
Previous Post
Next Post

Ashalamu-alaikum, I'm Shariar Mahamud Kabbo. I'm a Healthcare Professional . Welcome To My Largest Free Medical Books Download Site.

0 মন্তব্য(গুলি):