সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০

Psychosis

#হাবিজাবি
পাগল যদি বলে, 'আমি পাগল!' তাহলে সেটা neurosis. আর যদি বলে, আমি কিসের পাগল, পাগল তুই!' তাহলে সেটা psychosis! আজ প্রথমটা নিয়েই অল্পকিছু পড়াশোনা!

১। কখনো কিছু ভাল লাগে না।
২। এই ভাল লাগে তো, এই ভাল লাগে না।
৩। চিন্তায় রাত্রিরে ঘুম আসে না।
৪। চিন্তায় ঘুম আসে না, দরজা মনে হয় খোলা। যাই দরজা দিয়ে আসি। কিন্তু দরজা তো বন্ধ! চিন্তায় ঘুম আসে না, দরজা মনে হয় খোলা! যাই দরজা দিয়ে আসি!

🍂 প্রথম দুটো ভাল লাগা বা mood এর সাথে জড়িত। তাই ও দুটো mood disorder.

১ এ ভাল লাগে না কখনোই, mood একটাই, তাই এটা unipolar mood disorder, যাকে বলি Depression.
২ এ ভাল না লাগার সাথে, ভাল না লাগাও আছে, তাই এটা bipolar mood disorder. এখানে ভাল না লাগা মানে Depression, আর এই Depression এর সাথে ভাল লাগার যে সময়টুকু তাকে বলে Mania.

🍂 পরের দুটো দুঃচিন্তার সাথে জড়িত। তাই এ দুটো Anxiety disorder.

৩ এ শুধুই দুঃচিন্তা, চিন্তার পরে কোন কর্ম বা compulsion নাই। তাই এটা Generalized anxiety.
৪ এ দুঃচিন্তার সাথে, তার সমাধান হিসেবে দরজা বন্ধ করার কর্ম বা compulsion আছে। তাই এটা obsessive compulsive disorder (OCD).

আরো দুটো anxiety আছে,
phobic anxiety, panic anxiety.
দুটোই কাছাকাছি, এই সব anxiety এর কারণ ভয়। দুটোর মধ্যে সামান্য একটু পার্থক্য। phobic anxiety তে ভয়ের কারণ থাকতে পারে আবার নাও পারে, যেমন বাইরে গেলে গাড়ি চাপা পড়ে মরতে পারে, আবার নাও পারে। কিন্তু ভয় পায় মারা যাবে, phobic anxiety.
আমি এখনই মারা যাবো, এই ঘরে বসেই মারা যাবো। কিভাবে মারা যাবো কোন কারণ নাই, আমি মারা যাবোই, মৃত্যু ভয়ে এবনর্মাল আচরণ, panic anxiety বা panic disorder.

🍃 সোজা ভাষায় এ চারটাকে একসাথে এক কথায় প্রকাশ করা হল। এবার চিকিৎসা! সব রোগের চিকিৎসায় কমন যেটা সেটা CBT (Cognitive behaviour therapy), counseling, অর্থাৎ কথা বলে বুঝাতে হবে। আর ওষুধ বলতে মূলত দুটো ক্যাটাগরির, anti-depressant ও anxiolytic.

১। Depression এর চিকিৎসায় anti-depressant.

২। Bipolar mood disorder, প্রথমে depression তাই anti-depressant, পরে আবার mood ভাল, আবার mood খারাপ। এই mood swing কে প্রতিরোধ করতে mood stabilizer.

৩। Generalized anxiety এর চিকিৎসায় anxiolytic. আর আমরা জানি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই anxiety is followed by depression, তাই সাথে anti-depressant.

২। OCD এর চিকিৎসায়? মনে করতে পারি, যেহেতু এটাও এক প্রকার anxiety disorder, তাই তার চিকিৎসায় anxiolytic দিবো! কিন্তু না। OCD তে আসলে তাকে বুঝাতে হবে, দরজা দেয়াই আছে, চাবির গোছা সাথেই আছে, বাড়িতে রেখে আসেনি। আর চিকিৎসা হিসেবে compulsion কমাতে দেয়া হয় anti-depressant!

এবার আসি Stress related disorder.
১। Acute stress disorder
২। Adjustment disorder
৩। Post traumatic stress disorder

Acute stress disorder এ বিভিন্ন stress এর কারণে সে anxiety তে থাকে। যেমন মন্টু মিয়া ঘুষ খেয়েছিল। দুদক আসবে ধরতে! সেই চিন্তায় তার ঘুম হারাম। ধরা খেলে চাকরী চলে যাবে, খাবে কি তখন, সে চিন্তায় সে কিছুটা হতাশও বটে। এখানে anxiety বেশি থাকে, depression কম থাকে। তাই anxiolytic যথেষ্ট। দুদকে ধরা খেয়ে চাকরী হারালো, depression, তখন anti-depressant!

Adjustment disorder, নাম শুনেই বুঝি adjustment এ অসুবিধা। মাখনলাল গ্রামের ছেলে, শহরে এসে ভর্তি হয়েছে। নতুন পরিবেশ, খাপ খেতে পারবে কিনা সে চিন্তায় তার ঘুম নাই। গাইয়া বলে কেউ কেউ খেপায়ও তাকে, তাই একটু হতাশও বটে। অর্থাৎ উপরের মত প্রথমে anxiety বেশি, পরে depression হতে পারে। তাই সে অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট।

Post traumatic stress disorder, মিতু বাসে একা ছিল। আর একটু হলেই বিপদে পড়তো। ভাগ্যিস লাফ দিয়ে বেঁচে গেছে। কিন্তু ঘটনাটা ভুলতে পারছে না। এই ঘটনা বার বার মনে পড়ে, তারপর কষ্টে চুপ হয়ে যায়। phobic anxiety সেটা follow করে  কষ্ট আর হতাশায়। এই কষ্টকর হতাশাই অনেক্ষণ ধরে থাকে। চিকিৎসা হিসেবে কষ্ট কমাতে তাই anti-depressant দেয়া হয়।

🍂 Eating disoder
১। Anorexia nervosa
২। Bulimia nervosa

Anorexia nervosa, নামে আছে anorexia, কিছু খাচ্ছি না মোটা হওয়ার ভয়ে। না খেতে খেতে রোগী তালপাতার সেপাই। যদিও সে বলবে আমি সুমো কুস্তিগিরের মত মোটা!

Bulimia nervosa, খাচ্ছি, খাওয়ার পর মনে হচ্ছে - হায় হায়, আমিতো মোটা হয়ে যাবো, তাই গলায় আঙুল দিয়ে বমি করে ফেলছি। বারবার বমির জন্য দাঁত ক্ষয় হবে, আঙুলের নাকলে ক্যালাস জমবে, প্যারোটিড গ্লান্ড বড় হয়ে যাবে।

এসবের চিকিৎসায় ওষুধ প্রয়োজন হলে SSRI দেয়া যায়, এটা serotonin বাড়াবে যা hypothalamus এর appetite centre কে কন্ট্রোল করবে, খাওয়া ও মোটা হওয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তা কমবে!

🍂  Somatoform disorder
১। Somatisation disorder
২। Hypochondrial disorder
৩। Dissociative (conversion) disorder

Somatisation disorder, এ রোগী বিভিন্ন সমস্যা বা symptom এর কথা বলবে। যেমন চোখে দেখে না, কানে শোনে না, বুকে ব্যাথা, পেটে ব্যাথা। কিন্তু আদতে তার কোন সমস্যা নাই।

Hypochondrial disorder, উপরের সাথে এর পার্থক্য হল, ওটাতে শুধু symptoms বললেও, এটাতে বলবে রোগ! যেনতেন রোগ না, ক্যান্সার টিউমার ইত্যাদি, যে রোগে সে অল্প কদিনেই মারা যাবে, তার তড়িৎ ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন।

Dissociative (conversion) disorder, উপরের দুটোর সাথে এর পার্থক্য হল, ওখানে শুধু বলেছে তার এই symptoms বা সমস্যা আছে, আর এখানে সেটা শরীরে প্রকাশ পাবে। এটা যে সে ইচ্ছা করে করে তা কিন্তু না। যদি ইচ্ছা করে করে, তখন সেটা হবে Factitious disorder বা malingering. কিন্তু এখানে যেমন তার খিঁচুনি হবে, এটা সে ইচ্ছা করে করবে না, কোন মানসিক কারণে শরীর এই symptom প্রকাশ করবে, কিন্তু এর কোন শারীরিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোন শারীরিক কারণ থাকে না বলে symptom বেশিক্ষণ থাকে না, থাকে না central cyanosis, tongue bite, কিছুক্ষণ পর এমনিতেই আবার ভাল হয়ে যায়। CBT, counseling এগুলোই যথেষ্ট। চলবে...

আজ এটুকু। পৃথিবীর সব মানুষের মানসিক সুস্বাস্থ্য কামনায়। 🙂
.
Courtesy : Dr. Kawsar Uddin
Share This
Previous Post
Next Post

Ashalamu-alaikum, I'm Shariar Mahamud Kabbo. I'm a Healthcare Professional . Welcome To My Largest Free Medical Books Download Site.

0 মন্তব্য(গুলি):